মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
জিকির উল্লাহ জিকু
মহেশখালী উপজেলার বাবুর দিঘীতে (সরকারি পুকুর) ইজারায় নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অনিয়ম-দুর্নীতি করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গোপনে পানির দরে পুকুর ইজারা দেওয়া হতো। এই পানির দরের ইজারাও সরকারি নথিতে হিসাব গায়েব করা হয়।মহেশখালী উপজেলা ইউএনও’র অফিস কেন্দ্রিক একটি সিন্ডিকেট টাকাটা নিজেদের পকেটস্থ করত। সংশ্লিষ্ট সূত্র এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান। কিছু সুবিধার বিনিময়ে যা বাস্তবায়ন করত স্থানীয় সৌখিন বড়শি সমিতির নাম ব্যবহার করে উপজেলা প্রশাসান সিন্ডিকেট। যার ফলে ১০ একর বাবুর দিঘীর ১৯৯৬ সাল থেকে ২৯ বছরে (একবছর বাদ) গড়ে ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ হিসেবে (সৌখিন বড়শি সমিতির লেনদেনের তথ্য মতে) সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় কোটি টাকার। সূত্র আরও জানান, ২০১২ সালে তৎকালীন পিআইও বিশ্বনাথ মজুমদার দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে অনৈতিকভাবে মাছ বিক্রির কারণে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। ফিরে এসেছে আবারও অতীতের বিতর্ক পিআইও কান্ড।
এবারে ২৫ সালের বর্ষা মৌসুমে আরো কয়েকধাপ এগিয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কতা কাউছার হোসেন ঘোষণা দেন খেলা হবে ১ আগস্ট। যে ঘোষণায় বিস্মিত মহেশখালীর মানুষ। কারণ এই পুকুর সিন্ডিকেট ইতিমধ্যেই প্রায় ২৬ লাখ টাকা দিঘীতে খরচ করেছে বলে জানানা দিয়েছে। ১ম খেলায় শুভেচ্ছা টিকেট মূল্য ৩৬ সিটে (ভিআইপি ২টি বাদে) প্রায় ৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এখনো কত রাউন্ড খেলা চলাবেন প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে অতীতের মতো সাত সপ্তাহের মতো হলে ৭ খেলায় টার্গেট ৭০ লাখ। এখনো অজানা পুকুর থেকে লাভ কত করবে ওই টাকা কোথায় নিয়ে যাবে এই প্রশ্ন সচেতন মহেশখালীবাসির মাঝে। কারণ অতীতের মতো এবারেও লেনদনে হচ্ছে নগদে, বিকাশে। প্রশ্ন উঠেছে স্বচ্ছতার, সততার। ধাঁধার মতো প্রচার পোস্টারে আকর্ষণীয় অনুসরণীয় ৬ ধারায়, উল্লেখ আছে সমুদয় অর্থ পরিশোধের পর ৩৬ টি মাচার ১০০পারসেন্ট লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হবে।
অনুসন্ধানে জানাযায়, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে মহেশখালী সৌখিন বড়শি সমিতি নিজেদের টাকায় রক্ষণাবেক্ষণ (জাগ দেওয়া, নাইটগার্ড,পার বাঁধ, ইত্যাদি) ও মাছ দিয়ে ৭ সপ্তাহ থেকে ৮ সপ্তাহ বার ,পনের সিট বসিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ আহরণ করত। প্রতি সীট ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করত। মাছ আহরণের এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে অনুমতিপত্র জোগাড় করতে তাদের ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা ইউএনও অফিসে দিতে হতো যা কোনো ধরণের রসিদ বা সরকারি একাউন্ট ছাড়া নগদে লেদনদেন করত ইউএনও অফিস। এবিষয়ে মহেশখালী ইউএনও অফিসে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে বলেন, এই বাবুর দিঘীর ইজারার ফাইলপত্র সংরক্ষিত নেই। টাকার লেনদেনের বিষয় জানেনা বলে উল্লেখ করেন। প্রতিবেদকের কাছে সৌখিন বড়শি সমিতির পক্ষের লেনদেনের সত্যতার রেকর্ড রয়েছে জানালে টাকার অংকের পরিমাণ মনে নেই তবে লেনদেনের সত্যতা স্বীকার করেন।
ইউএনও অফিসের বক্তব্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান:
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সিএ) সাগর দে’র কাছে জানতে চাওয়া হয় গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার, তিনি তখন বলেন এটা ইউএনও অফিসের দপ্তরের নয়, ওটা উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে পুকুরের বিষয়। তখন উপজেলা পরিষদের সিএ প্রণয় দে’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনিও জানাচ্ছি বলে কোনো তথ্য দেননি। পরে ১৯ জুলাই তথ্য জানার জন্য আবারও ফোন দেয় হয় সিএ প্রণয় দে’কে। তখন তিনি সাগর দে’র অনুমতির কথা জানান। এর পরে সাগর দে কে প্রতিবেদকের কাছে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মারমা’র স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্র হলে উপজেলা পরিষদের হয় কী করে প্রশ্ন করলে, তিনি উত্তরে স্বীকার করে বলেন, বাবুর দিঘীর ইজারার কোনো ধরণের সরকারি নথি সংরক্ষিত নেই। টাকা লেনদেনের বিষয় তিনি জানেন না।তখন প্রতিবেদক প্রশ্ন করে জানতে চান, টাকা আপনার মাধ্যমে করা হয়েছে। তার উত্তরে সাগর দে বলেন, ভাই আমি আসছি তিন বছর, বড়শি সমিতি চিঠিশুদ্ধ লিখে স্যারের কাছে আসে, দুই লাখ টাকা আমি জানিনা, আমার কাছে মীকি স্যার, ইয়াছিন স্যারের দেওয়া ফটো কপি বিবিধ ফাইলে রাখি। যদি আমার মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয় অনেক দিন আগের কথা মাথায় থাকেনা, দুই লাখ কিনা আমি জানিনা, যদি টাকা দেওয়া হয় তাহলে আমি স্যারের ড্রয়ারে দিয়ে আসছি। তিনি হঠাৎ করে আমি অফিসের মানুষ হয়ে যেটা করিনি, জানিনা তা ভোগাস তথ্য দিতে পারিনা তাই দেরি করছি উল্লেখ করে আরো বলেন, বিদ্যা একুরেট কত টাকা দিছে আমার মনে নেই, তবে দুই লাখ দেয়ার কথা একেবারেই নগন্য। যেই দিছে তাকে সামনা সামনি আসতে বলেন আমি স্যারকে ফোন করে জানাবো। এবিষয়ে সাবেক ইউএনওদের ফোন নাম্বার না থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
বর্তমান ইউএনও’র বক্তব্য:
৫ আগস্ট অভ্যুত্থান পরবর্তী মহেশখালী উপজেলায় যোগদান করা বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ্ বলেন, বাবুর দিঘীর আগে বিষয়ে কি হয়েছে কেমন ছিল আমার জানানেই যেহেতু আমি নতুন। তবে এবারে স্বচ্ছুার জন্য বাবুর দিঘীর সংরক্ষণ ও বড়শি দিয়ে ধরা বিষয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। যার সভাপতি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল ইসলাম, সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাউছার হোসেন। বিকাশে লেনদেনের বিষয়ে বলেন, এবারে নগদে বিকাশে দূর থেকে যোগাযোগ সহজ করার লক্ষ্যে দেওয়া হয়েছে। তবে সকল কার্যক্রম শেষে বিধিমোতাবেক হিসেবে করে উদ্ধৃত্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে।
মহেশখালী সৌখিন বড়শি সমিতির বক্তব্য:
মহেশখালী সৌখিন বড়শি সমিতির বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে। তারমধ্যে মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আ.স.ম জাহিদুল হক নাহিদ সৌখিন বড়শি সমিতির অন্যতম সদস্য তিনি বলেন, “ আমি ২০১০ সাল থেকে এই বাবুর দিঘীতে বড়শী দিয়ে মাছ ধরি, শুধুমাত্র শখের বসে। দেখা যায়, বেশির ভাগ সময়ে লস হয়। কিন্তু এই বছর অধিক লসের ভয়ে অংশ গ্রহণ করিনি। অতীতে আমরা বাবুর দিঘীতে নিজেদের টাকায় ফান্ড করে পোনা ফেলা, জাগ দেয়া, নাইট গার্ড দিয়ে পাহারা ইত্যাদির পর উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ও একটা নগদে টাকা দিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। উপজেলা মৎস্য অফিস সামান্য মাছ দিয়ে নাম মাত্র সহযোগিতা করত। এবারে নিয়ম পাল্টাইছে আমরাও বাদ। নগদ টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ওই টাকা আমাদের সমিতির পক্ষ হয়ে ইউওএনও অফিসে একেকজন একেকবার গেছে। রশিদ দেয়নি আমরাও নেয়নি। ওই টাকার বিষয়ে আর জানিনা। তবে রশিদ না নেওয়া ভুল হয়েছে স্বীকার করেন। অপর সদস্য শাহীন আরাফাত বলেন, ২০১০ সালে একবার মহেশখালী উপজেলার ১০৬৪ ব্যাংক একাউন্টে ১০ হাজার টাকা কওে সিটের টাকা পে করেছিলাম। এছাড়া সব নগদে। শখের তোলা আশি টাকা এই প্রবাদের মতোই আমার বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম এর বেশি কিছু না। বলতে গেলে গড়পড়তা আমাদের লস থাকত। তবে এবার পিআইও
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে অনুমতিপত্র।
কাউছার হোসেনের বাণিজ্যিক মনোভাবের কারণে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখছি। আমরা দুর্নীতি করিনি। আমরা টাকা দিয়ে শখ মেটাতাম। এর বেশি কিছু না। সিট বাঁধা, মাছ দেয়া, অনুমতি, খাদ্য খরচ সব মিলিয়ে আমাদের এখন শখ মিটে গেছে। এবারের পিআইওর খেলার আসর মাছ ধরার বিনোদন থেকে জুয়ায় পরিণত হয়েছে। দুর্নীতি হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। আপনারা সমিতির মাধ্যমে দুর্নীতির সহযোগী কিনা প্রশ্নে সমিতির সিনিয়র আরেকজন সদস্য বলেন, সমিতিতে এককভাবে কোনো কিছু গোপনে করার সুযোগ নেই। সমিতি ব্যক্তির প্রতিনিধিত্ব করেনা। সুতরাং ব্যক্তির দুর্নীতি করার সুযোগ নেই।আমরা সমিতির মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে টাকার বিনিময়ে বৈধভাবে অনুমতি নিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। আমাদের পক্ষে সবকিছু সঠিক। বাদ বাকি ইউএনও অফিস, পিআইও জানবে। তাদের দাবি অতীতের সকল ইউএনও স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্র আছে।
ভিআপি সিট বিতর্ক:
৩৮ সিটের মধ্যে ২টি সিট ভিআইপি বরাদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভিআপি কে বা কারা মাপকাঠি উল্লেখ নাই। ইউএনও বলেন, এটা আমার অজান্তে হয়েছে। এটা সুন্দর হয়নি। সচেতন মহলের ভাষ্য বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেও বৈষম্য, সুবিধা ভোগ। সচেতন মানুষের মন্তব্য মাছ ধরতেও ভিআইপি?
টিকেট বিকাশে একাউন্ট নাম্বার নাই:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাবুর দিঘী পরিচালনা কমিটির প্রচারিত ফটোকার্ডের নাম্বারে যোগযোগ করেন একজন মাছ শিকারী, জানতে চাওয়া হয় টিকেট বুকিং একটু ছাড়ে ২৭ হাজার টাকার কমে হবে কিনা। পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক নজরুল ইসলাম সততার সহিত উত্তরে জানান, কম হবে না। একাউন্টে পেমেন্ট করা যাবে উত্তরে বললেন একাউন্ট নাই!
বিনা টেন্ডারে মাচা পায় রুকন, শুরুতেই দুর্নীতি:
পিআইও কাউছার হোসেন থেকে জানতে চাওয়া হয় মাচা বানাতে কত খরচ, মাচা বানার দায়িত্ব কাকে কিভাবে দিয়েছেন উত্তরে বলেন, হিসাব করা হয়নি। স্থানীয় ঠিকাদার রুকনকে দিয়েছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে ৩৮ সিটে প্রায় খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। যেটা অনেক বেশি। এবং তা স্বজনপ্রীতি করে পিআইও’র ঘনিষ্টজন পুটিবিলার বাসিন্দা রুকনকে দিয়েছেন। যদি টেন্ডার আহবান করে দেওয়া হতো তাহলে তা কমপক্ষে ৩ লাখ টাকায় করা যেতো। সচেতন মানুষের ভাষ্য যেই পাক সরকারি কাজ বিনা টেন্ডারে দুর্নীতির গন্ধ থাকে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাহাদুল আলম বলেন, আমাকে সভাপতি, পিআইওকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছে ইউএনও। আসলে সব তথ্য পিআইও জানে। উনার থেকে জেনে নিলে ভালো হয়।
পিআইও কাউছার হোসেনের বক্তব্য:
নাম না ধরে আগে ছিল একজন ভালো মানুষ যিনি ১৫/২০ বছর ধরে খাইছে। ওরা চিন্তা করছে আরও খাওয়া যায় নাকি। তারা সমিতির নামে সিট বিক্রির টাকা দিয়ে দিঘীর খরচের বিভিন্ন হিসাব দেখিয়ে সমান সমান দেখিয়ে ইকুয়েল করে দিত। এবারে ইউএনও স্যার নতুন কমিটি করে দিছে। সরকারি পুকুর, এটা ফিড ব্যাক আসতে হবে। রাজস্ব বাড়াতে হবে। যার কারণে ওরা উল্টাপাল্টা নিউজ করাচ্ছে। অপপ্রচার করছে। এখনো পুকুর থেকে মাছ বিক্রি হয়নি। রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এবারে ভিন্নভাবে খেলার মাধ্যমে উদ্যোগ নিয়েছি। ২৭ হাজার টাকার প্রতি সিটে ১ম খেলা শুরু হবে সবকিছু সিট ফিলাপ হলে ৭ লাখের মতো উঠবে। প্রায় ২৬ লাখ টাকা ইতিমধ্যে খরচ কিভাবে তুলে রাজস্ব বাড়াবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, ১ম খেলা চলার পর দেখা যাক কি হয়। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তখন হবে। তিনি আরও একটা তথ্য দেন বাবুর দিঘীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) এডভোকেট আবদুর রহিম বলেন, যেকোনো সরকারি লেনদেনের হিসাব নগদে বা বিকাশে করা মানে আত্মসাতের কুমানসিকতা, ক্ষমতার অপব্যবহার। টাকাতো কোষাগারে জমা হবে না, এটা সরাসরি দুর্নীতি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বাবুর দিঘীর আগে পরে সব ঘটনা জানালে তিনি বলেন, উপজেলায় কথা বলে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মহেশখালী সৌখিন বড়শি সমিতির সভাপতি ছিলেন এড. আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক আশীষ দে (অবঃ), সহ সভাপতি আবদুল খালেক, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন আরাফাত, সদস্য হারুন উদ্দিন রুবেল, হারুনর রশিদ ও খোকন প্রমুখ।
মহেশখালী উপজেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে বাবুর দিঘী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। এবিষয়ে সচেতন মহলের দাবি বাবুর দিঘীর উন্নয়ন ও সরকারি পুকুরের স্বচ্ছতর জন্য তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
ভয়েস/জেইউ